অতিথিদের আপ্যায়নে বিভাজন করা প্রসঙ্গে ইসলাম কী বলে

অনলাইন ডেস্ক

সমাজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে শ্রেণিবিন্যাস করতে দেখা যায়। সেখানে সাধারণ অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ব্যবস্থাপনায় তারতম্য করা হয়। বিভাজনের এই সংস্কৃতি বিয়েশাদিতেও দেখা যায়। অতিথিদের ভেতর এমন বিভাজন কি শরিয়তের দৃষ্টিতে জায়েজ?

প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, একই দস্তরখানে দুই শ্রেণির মানুষের জন্য দুই রকম খাবার পরিবেশন করা অনুচিত।
তবে যদি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় হয়, তা জায়েজ আছে, শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো অসুবিধা নেই। বিয়েশাদির বিধানও একই রকম।
সাধারণত মাদরাসার বার্ষিক মাহফিলে ভিআইপি খাবার পরিবেশন করা হয় বিশিষ্ট আলেম, আমন্ত্রিত আলোচক, মাদরাসার হিতাকাঙ্ক্ষী ও সহযোগী, সমাজের মান্যবর ব্যক্তিদের। তাঁরা এমন ব্যক্তিই হয়ে থাকেন যাঁদের মর্যাদা সমাজে স্বীকৃত।

ইসলামের শিক্ষা হলো প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রাপ্য মর্যাদা বুঝিয়ে দেওয়া। মায়মুন ইবনু আবি শাবিব (রহ.) থেকে বর্ণিত, ‘একবার এক ভিক্ষুক আয়েশা (রা.)-এর কাছে এলে তিনি তাকে এক টুকরা রুটি দিলেন এবং পোশাক পরিহিত সুন্দর চেহারাবিশিষ্ট আরেক ব্যক্তি এলে তিনি তাকে বসালেন এবং খেতে দিলেন। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা মানুষের সঙ্গে তাদের মর্যাদা অনুযায়ী আচরণ করো।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৪২)

ফাতাওয়াতে মাহমুদিয়্যাতে বলা হয়েছে, আম দাওয়াতে এক দস্তরখানে পার্থক্য করা উচিত নয়।

তবে যদি দস্তরখান আলাদা হয়, যেমন এক কক্ষে বিশেষ ব্যক্তিদের ডেকে বিশেষ খাবার দেওয়া হলো এবং সাধারণ দস্তরখানে অন্য রকম খাবার দেওয়া হলো—এতে কোনো সমস্যা নেই। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে এমনটি প্রমাণিত আছে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা : ২৪/১৭২)
আল্লাহ সর্ববিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *