‘হামাসের অধিকাংশ যোদ্ধা সামরিক ফাঁদে, শুধু নির্দেশের অপেক্ষা’

অনলাইন ডেস্ক

হামাসকে গাজা শান্তিচুক্তি গ্রহণ করতে শুক্রবার আলটিমেটাম দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটন সময় রবিবার সন্ধ্যা ৬টার (বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর ৪ টা) মধ্যে শান্তিচুক্তি গ্রহণ না করলে হামাসের ওপর ‘নরক নেমে আসবে’ বলে হুমকি দেন তিনি।

ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশালে লিখেছেন, ‘যদি এই শেষ সুযোগের সমঝোতা সম্পন্ন না হয়, তাহলে হামাসের বিরুদ্ধে এমন নরক নামবে যা আগে কখনো কেউ দেখেনি।’

তিনি আরো বলেন, ‘নির্দোষ ফিলিস্তিনিদের’ একটি অনির্দিষ্ট অঞ্চল থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে, কারণ সেখানে হামাসের অবশিষ্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালানো হতে পারে।
ট্রাম্পের ভাষায়, ‘হামাসের অধিকাংশ যোদ্ধা বর্তমানে চারদিক থেকে ঘেরাও ও সামরিকভাবে ফাঁদে পড়েছে, শুধু আমার ‘গো’ নির্দেশের অপেক্ষায়। এক মুহূর্তেই তাদের জীবন শেষ হয়ে যাবে। যারা বাকি আছে, তাদেরও আমরা চিনি—তাদের শিকার করা হবে ও হত্যা করা হবে।’

তিনি দাবি করেন, ‘আমি চাই, নির্দোষ সব ফিলিস্তিনি অবিলম্বে সম্ভাব্য ভয়াবহ মৃত্যুর জায়গা ছেড়ে গাজার নিরাপদ অংশে চলে যাক।

যারা সাহায্য করার জন্য অপেক্ষা করছে, তারা সবাইকে সঠিকভাবে যত্ন নেবে। তবে হামাসের জন্য এখনও একটি শেষ সুযোগ রয়ে গেছে।’
প্রায় দুই বছর ধরে ইসরায়েলের বিধ্বংসী হামলার পর ট্রাম্পের এই শান্তিচুক্তি প্রস্তাব ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সমর্থন করলেও, হামাস এখনো তা গ্রহণ করেনি।
শান্তি চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং ধাপে ধাপে গাজা থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারের পর একটি যুদ্ধ-পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠন করা হবে, যার নেতৃত্বে থাকবেন স্বয়ং ট্রাম্প।
তবে ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার ‘স্থানত্যাগের নির্দেশ’ সুনির্দিষ্টভাবে কী বোঝাচ্ছে, তা পরিষ্কার নয়।
বর্তমানে ইসরায়েলি সেনারা গাজার সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্রে স্থল ও আকাশ হামলা চালাচ্ছে, সেখান থেকে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

জাতিসংঘ শুক্রবার পুনর্ব্যক্ত করেছে যে গাজায় ‘কোনো জায়গাই নিরাপদ নয়’ এবং ইসরায়েলের নির্ধারিত দক্ষিণাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলো আসলে ‘মৃত্যুর স্থান’ হয়ে উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *