যুদ্ধবিরতির পর সবচেয়ে ভয়াবহ রাতের সাক্ষী গাজাবাসী

অনলাইন ডেস্ক :

একজন ইসরায়েলি সেনার মৃত্যুর জবাবে হামাসের ডজনখানেক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েল। এর ফলে এই মাসের শুরুতে মার্কিন মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গাজায় সবচেয়ে ভয়াবহ বোমা হামলার রাত প্রত্যক্ষ করেছে।

এই হামলার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ‘যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার নতুন প্রক্রিয়া’ শুরু করেছে। তবে এই বিবৃতি দেওয়ার পরেও এএফপির লাইভ ভিডিও ফিডে গাজার আকাশরেখায় বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা যাচ্ছিল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি প্রায় তিন সপ্তাহ আগেকার এই যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করতে সাহায্য করেছিলেন, তিনি এর আগে বলেছিলেন, এই চুক্তিকে বিপন্ন করার জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে তিনি এও সমর্থন করেন, আক্রান্ত হলে ইসরায়েলের ‘পাল্টা আঘাত করার’ অধিকার রয়েছে।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, এই হামলায় অন্তত ৩৫ শিশুসহ ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। গাজার পাঁচটি হাসপাতালের চিকিৎসা সূত্রের ভিত্তিতে এএফপিও এই মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করেছে।

অঞ্চলটির প্রধান আল-শিফা হাসপাতাল জানিয়েছে, একটি হামলা তাদের পেছনের প্রাঙ্গণে আঘাত হেনেছে।

আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের একটি স্কুলে তাঁবুর নিচে থাকা ৩১ বছর বয়সী খাদিজা আল-হুসনি বলেন, ‘আমরা সবেমাত্র আবার শ্বাস নিতে শুরু করেছিলাম, আমাদের জীবন পুনর্গঠনের চেষ্টা করছিলাম, তখনই আবার বোমা হামলা ফিরে এল।’

তিনি আরো বলেন, ‘এটা একটা অপরাধ। হয় যুদ্ধবিরতি থাকবে বা যুদ্ধ—একই সঙ্গে দুটো চলতে পারে না।

বাচ্চারা ঘুমাতে পারছিল না। তারা ভেবেছিল যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে।’
হামাস জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধাদের ‘রাফাতে গুলি চালানোর ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই’ এবং মার্কিন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *