রংপুরে বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১, সাংবাদিকসহ আহত ৪০

সাইফুল ইসলাম হৃদয় :

রংপুরের বদরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত লাবলু মিয়া নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দোকানঘর ভাড়াকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে পৌর এলাকায় উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মানিকের কর্মী-সমর্থকদের সাথে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মানিকের কর্মী-সমর্থকের সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

এতে ছবি তুলতে গেলে বৈশাখী টিভির ক্যামেরাপার্সন, সাইফুল ইসলাম মুকুল, নিউজ টুয়েন্টিফোর ক্যামেরা পার্সন ফারুক,মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের রির্পোটার ফুহাদ হাসান, দেশনিউজ টুয়েন্টিফোর স্টাফ রির্পোটার আতিক হাসানসহ
উভয়পক্ষের ৪০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর ৪ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাবলু মিয়ার মৃত্যু হয়।

সংঘর্ষের ঘটনায় বদরগঞ্জ পৌর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এদিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তিন বিএনপি নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা বিএনপি।

যৌথ বাহিনীর ক্যাপ্টেন মেহেদী জানান, বদরগঞ্জ থানার সাথে যোগাযোগ করে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। আশা করি আর কোনো ঘটনা ঘটবে না।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কে বা কারা কার দোকানে হামলা ভাঙচুর করেছে এই বিষয় নিয়ে মানিক চেয়ারম্যানের লোকজন ফেসবুকে আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস ও বক্তব্য দিয়ে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে মানিক চেয়ারম্যানের লোকজন হামলা চালিয়ে আমার লোকজনকে আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

বিষয়ে বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও কালুপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক জানান, গত পরশুদিন বিনা কারণে বদরগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবসায়ী জাইদুল হকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোহাম্মদ আলী সরকারের লোকজন হামলা ও লুটপাট চালিয়ে ভাঙচুর করেন। ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সরোয়ার জাহানসহ আমরা বাধা দিতে গেলে মোহাম্মদ আলীর লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়।
ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙচুর ও হামলার প্রতিবাদে আজকে সকল ব্যবসায়ী মিলে মানববন্ধন আয়োজন করি এ সময় মোহাম্মদ আলী সরকারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালায় এ ঘটনায় আমাদের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছে।

বদরগঞ্জ পৌর বিএনপির সদস্য সচিব কমল লোহারি জানান, এটা দলীয় কোনো দ্বন্দ্ব নয়। মোহাম্মদ আলী সরকার ও মানিক চেয়ারম্যান তারা পূর্বে থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়তেন। তারই প্রতিফলন আজকের এই সংঘর্ষ। আমরা চাই না বদরগঞ্জে এরকম কোনো ঘটনা ঘটুক। আজ তাদের কারণে বদরগঞ্জবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *