ভারত থেকে সুব্রত বাইনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়! উদ্দেশ্য কী ছিল?

অনলাইন ডেক্স :

প্রায় দেড় বছর আগে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে বাংলাদেশ পাঠানো হয়। রাজনৈতিক গুপ্তহত্যার উদ্যেশ্যে তাকে তৈরি করা হচ্ছিল। গ্রেপ্তার সুব্রন বাইন সম্পর্কে এমন তথ্য দিয়েছেন অনুসন্ধান সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

আজ বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানান তিনি।

ওই পোস্টের সঙ্গে একটি ভিডিও দিয়েছেন তিনি। যাতে দেখা যায়, গ্রেপ্তারের পর তিনি বাংলাদেশে আসার কারণ জানাচ্ছেন।
জুলকারনাইন ওই পোস্টে বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে সুব্রত বাইনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। উদ্দেশ্য ছিলো টার্গেটেড রাজনৈতিক গুপ্তহত্যার উদ্দেশ্যে ভিন্ন পরিচয়ে যুক্তরাজ্যে পাঠানোর, তৈরিও করা হচ্ছিলো সেভাবে।

তিনি আরো বলেন, কিন্তু ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে তার আশ্রয়দাতারা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যাওয়ার কারণে পেশাদার এই অপরাধী সাধারণ জনগণের সাথে মিশে যায়।

পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোন-কোন ব্যক্তিকে গুপ্তহত‍্যার পরিকল্পনা করছিলো সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ এবং কারা তাদের সহায়তা করছিলেন এ বিষয়ে শিগগিরই প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন জুলাকারনাইন।

এদিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র মামলায় সুব্রত বাইনকে ৮ দিন ও অপর তিনজনকে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনে বুধবার এ অনুমতি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালত।

২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুব্রত বাইন ও তাঁর সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জনকে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্তির পর তাঁদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে। এরপর থেকেই সুব্রত বাইন পলাতক ছিলেন। খবর পাওয়া যায়, তিনি ভারতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খাটেন। তবে তিনি ভারত থেকে ঠিক কবে দেশে ফিরেছেন, সে তথ্য পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার আদালতে সুব্রত বাইন দাবি করেছেন, তিনি আড়াই বছর ধরে আয়নাঘরে ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাকে আড়াই বছর ধরে আয়নাঘরে রাখা হয়। আমাকে ৫ তারিখ (আগস্ট) রাত ৩টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমাকে মাথায় রড দিয়ে পিটিয়ে শেষ করে দিয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *