অনলাইন ডেস্ক
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ যাবতীয় পরামর্শের জন্য এআই চ্যাটবটগুলো আরো ঘন ঘন ব্যবহার করছে। বিশেষজ্ঞরা এই প্রযুক্তিগুলোর ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্যের জন্য।
চ্যাটবটগুলো আপাতদৃষ্টিতে ইউজার-ফ্রেন্ডলি এবং নির্ভরযোগ্য বলে মনে হয়। তবে স্বাস্থ্যের মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা তাদের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।
নিউ ইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদনে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন আমেরিকান এআই থেকে স্বাস্থ্য পরামর্শ চেয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, গত বছরের একটি জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ২৫% আমেরিকান ঐতিহ্যবাহী থেরাপির চেয়ে চ্যাটবট বেছে নেওয়া পছন্দ করছেন।
এই ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার প্রেক্ষিতেই বিশেষজ্ঞরা চ্যাটজিপিটি এবং অন্যান্য এআই চ্যাটবটগুলোর সঙ্গে ব্যক্তিগত বা চিকিৎসাসংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করার বিষয়ে সতর্ক করছেন। সেজন্য ৭টি বিষয় কখনো চ্যাটজিপিটি এবং অন্যান্য এআই চ্যাটবটকে বলা বা জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়! কী সেসব তথ্য, চলুন জেনে নেওয়া যাক—
ব্যক্তিগত তথ্য : নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর বা ই-মেইল অ্যাড্রেস এআই চ্যাটবটগুলোর সঙ্গে কখনোই শেয়ার করা চলবে না।
এই তথ্য ইউজারকে শনাক্ত করতে এবং তার কার্যকলাপ ট্র্যাক করতে ব্যবহার করা হতে পারে।
আর্থিক তথ্য : আর্থিক তথ্য, যেমন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ড নম্বর ইত্যাদি কখনোই এআই চ্যাটবটের সঙ্গে শেয়ার করা চলবে না। এই তথ্য ইউজারের টাকা বা আপনার পরিচয় চুরি করতে ব্যবহার করা হতে পারে।
পাসওয়ার্ড : এআই চ্যাটবটের কাছে কখনোই নিজের পাসওয়ার্ড শেয়ার করা যাবে না।
এই তথ্য ইউজারের অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করতে এবং তার ডেটা চুরি করতে ব্যবহার করা হতে পারে।
নিজের গোপন কথা : এআই চ্যাটবটের কাছে কখনোই নিজের গোপন কথা শেয়ার করা উচিত নয়। কাছের মানুষকেও এই ব্যাপারে সব সময় নির্ভর করা যায় না, তা চ্যাটজিপিটি কেন ছাড়! সে ব্যক্তি নয় এবং ইউজারের গোপন কথা সুরক্ষিত রাখবে, তা মনে করাটাই সবচেয়ে বড় ভুল!
চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য পরামর্শ : আর যা-ই হোক, এআই চিকিৎসক নয়, তাই কখনোই এআই-এর কাছে স্বাস্থ্য পরামর্শ চাওয়া উচিত হবে না। এ ছাড়া বিমা নম্বরসহ স্বাস্থ্যের বিবরণ কখনো শেয়ার করা উচিত হবে না।
স্পষ্ট কন্টেন্ট : বেশিরভাগ চ্যাটবট তাদের সঙ্গে শেয়ার করা যেকোনো স্পষ্ট জিনিস ফিল্টার করে।
তাই অনুপযুক্ত কনটেন্ট ইউজারকে ব্যান করতে পারে। শুধু তাই নয়, মনে রাখতে হবে যে ইন্টারনেট কখনো কিছু ভুলে যায় না। তাই, কেউই জোর দিয়ে বলতে পারবেন না, এগুলো কোথায় ভেসে উঠতে পারে!
গোপন তথ্য : মনে রাখতে হবে যে ইউজার এআই চ্যাটবটকে যা কিছু বলেন, তা সেভ করা হতে পারে এবং অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হতে পারে। তাই, কখনোই এআই চ্যাটবটকে এমন কিছু বলা উচিত নয়, যা সারা বিশ্বের জেনে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে!













Leave a Reply