প্রেসক্লাব রংপুরের তত্ত্বাবধায়ক কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংগঠন পরিচালনায় আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম প্রতিয়মান হওয়ায় প্রেসক্লাব রংপুরের কমিটির সদস্যদের সাময়িক বহিস্কার করে চার সদস্যের তত্ত্বাবধায়ক কমিটি গঠণ করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। বুধবার সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।


সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত পত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েক মাস পূর্বে প্রেসক্লাব রংপুর (নিবন্ধন নং-রংপুর/৩৫৯/৯১) পক্ষ থেকে আলাদা দুইটি কমিটি অনুমোদনের জন্য উপ-পরিচালক সমাজসেবা কার্যালয়ে প্রেরন করা হয়। বিষয়টি সমাজসেবা অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হলে তদন্তের জন্য সংস্থটির একজন উপ-পরিচালককে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা সংস্থাটি ( প্রেসক্লাব রংপুর) পরিচালনার ক্ষেত্রে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম প্রতীয়মান হয়েছে বলে মতামত প্রদান করেন। দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে সেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (রেজিস্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশ,১৯৬১ এর ধারা ৯(১) মোতাবেক সংস্থার (প্রেসক্লাব) পরিচালনামন্ডলীকে সাময়িক বরখান্ত করে। এবং ধারা ৯(২) মোতাবেক সমাজসেবা অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় পরিচালককে আহবায়ক করে চার সদস্যের তত্ত্বাবধায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও শহর সমাজসেবা অফিসার। আধেম প্রাপ্তির পর দায়িত্ব গ্রহণের পর গঠণতন্ত্র অনুসারে সদস্য তালিকা হালনাগাদসহ খসড়া ভোটার তালিকা প্রনয়নের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্টানের আয়োজন করবেন। পরে নির্বাচিত কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
এছাড়াও দেশের স্বনামধন্য অডিট ফার্ম নিয়োগের মাধ্যমে আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরুপন করবেন। কোন সদস্যের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সংস্থার স্বার্থে বিদ্যমান গঠনতন্ত্রটির সংশোধনী এনে তা নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন উদ্যোগ নিতে পারবেন।

হাতে গোনা কিছু সাংবাদিক ও অসাংবাদিকদের নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেসক্লাব রংপুরকে কুক্ষিগত করে রাখে একটি মহল। জুলাই বিপ্লবের পর বৈষম্যের শিকার সাংবাদিকরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলন শুরু করলে প্রেসক্লাবের অসাংবাদিকদের রোশানলে পড়ে হেনস্থার শিকার হন বেশ কিছু সাংবাদিক। এমনকি রংপুর সার্কিট হাউসে তথ্য উপদেষ্টার মতবিনিময়সভা ভন্ডুল করেন এই অপসাংবাদিকরা।
আন্দোলনকারীরা জনান, প্রেসক্লাবে যে কয়েকজন সাংবাদিক আছেন তাদের মধ্যে ৭ জন্য শিক্ষক ১ জন স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্টানের কর্মকর্তা। সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত নন এমন রয়েছেন ৫ জন।
তারা বলেন, সমাজসেবার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। আশাকরি প্রেসক্লাব রংপুর হবে সাংবাদিকদের মিলন কেন্দ্র।


এদিকে প্রশাসক নিযোগের খবর সাংবাদিকদের মাঝে ছড়িয়ে পরলে প্রেসক্লাব ও এর আশপাশ এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস করেন অধিকার বঞ্চিত সাংবাদিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *