নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, তার স্ত্রী জেলি রহমান ও ২ কন্যার দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক। ইতিমধ্যে তাদের মজুদ অর্থের খোঁজ নিতে বিভিন্ন ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ হোসাইন শরীফ জানান, ইতিমধ্যে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা’র বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধানের অনুমতি আমাদের দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় আমরা মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও তার পরিবারের সদস্যদের অর্থের খোঁজ নিতে বিভিন্ন ব্যাংকে পত্র দিয়েছি। এছাড়াও মেয়র থাকা কালে তার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত পূর্বক নিজের ও পরিবারের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে আমরা পুরো অনুসন্ধান শেষ করবো।
হোসাইন শরীফ জানান, অনুসন্ধানের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকে সাবেক মেয়র,তার স্ত্রী জেলি রহমান,২ কন্যা জিনাত ফেরদৌস ও জারিন তাসনিমের কোন ব্যাংক হিসাব রয়েছে কিনা তার অনুসন্ধানের জন্য ইতিমধ্যে পত্র দেয়া হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি পত্র দেয়া হয় বলেও জানান দুদকের এই কর্মকর্তা।
তিনি জানান, তালিকাভুক্ত সব ব্যাংকের অনেকেই এখন চাহিদামত তথ্য দেয়নি।সব ব্যাংকের তথ্য পেলে যাচাই বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তবে এবিষয়ে সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সাথে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এটা ভেক অভিযোগ। আমার আয়কর ফাইল রয়েছে। দুদক অনুসন্ধান করে কোন দুর্নীতির প্রমাণ পাবে না। স্ত্রী ও ২ কন্যার নামে ব্যাংকে দুর্নীতির কোন টাকা পয়সা নেই বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি।













Leave a Reply