অনলাইন ডেস্ক
রংপুরে চোর চক্রের মূল হোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে রংপুরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রতারণা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চুরি ও হত্যাসহ নানা অপরাধ করে আসছিল। তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া তিনটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আবু সাইম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নগরীর বাহার কাছনা তেলিপাড়ার নবাব আলীর ছেলে হামিদুল ইসলাম, গাইবান্ধার উত্তর হরিণসিংহা গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে সুজন মিয়া, গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের রমাকান্ত গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে নূর ইসলাম, বুড়িরহাট কোবারু এলাকার হোসেন আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম, গঙ্গাচড়া রাজবল্লভ এলাকার আজিয়ার রহমানের ছেলে আতিয়ার রহমান, আব্দুল মাজেদের ছেলে মুন মিয়া এবং নগরীর চড়ারহাট এলাকার ফজলুল হকের ছেলে ফারুক হোসেন।
তাদের বিরুদ্ধে কাউনিয়া ও গঙ্গাচড়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আবু সাইম জানান, অটোরিকশা চালককে চেতনানাশক খাইয়ে অটোরিকশা চুরির ঘটনায় গত ১৫ অক্টোবর বদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় থানা পুলিশ ও ডিবির যৌথ দল নগরীর সিগারেট কোম্পানি এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের মূল হোতা হামিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাউনিয়া রেলগেট এলাকা থেকে চক্রের সদস্য সুজন মিয়াকে চুরি যাওয়া একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির ইফতার মাহফিলে হামলার মামলায় সাবেক অধ্যক্ষসহ গ্রেপ্তার ২
যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের নিয়ে জোট গঠন করা যেতে পারে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
ভোট হলে তোমাদের অস্তিত্ব থাকবে না, জামায়াতকে মির্জা ফখরুল
এরপর গ্রেপ্তার দুইজনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে চুরি করা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত নূর ইসলাম ও জহুরুল ইসলামকে নগরীর ময়নাকুটি এলাকা থেকে এবং পরবর্তীতে অপর আসামি আতিয়ার, মুন মিয়া ও ফারুক হোসেনকে নিজ নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, চোর চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে রংপুরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রতারণার মাধ্যমে চেতনানাশক ওষুধ ব্যবহার করে অটোচালকদের হত্যাসহ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চুরি করে আসছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জয়নাল আবেদীন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সুশান্ত চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।













Leave a Reply