অনলাইন ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মালবাহী জাহাজ ভাড়া করে কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি শাহাদাত হোসেনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে। উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কাদিরগঞ্জ এলাকায় গত ১৫দিন ধরে মেঘনা নদীর তীরে এইচবি হারুন অ্যান্ড ব্রাদার্স মেঘনা শিপইয়ার্ডে জাহাজটি কেটে ফেলা হয় বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় গতকাল (২৬ নভেম্বর) নজরুল ইসলাম নামের এক বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার নজরুল ইসলামকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর জাহাজ কেটে বিক্রির ঘটনায় জাহাজের মালিক রাকেশ শর্মা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছেন জাফর (৪২), শাহাদাত (৩৫), ইকবাল (৪২), নজরুল ইসলাম (৪৭), এমদাদুল হক, জাফর (৪৫) ও হোসেন (৩৩)।
আসামিদের মধ্যে শাহাদাত জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি। তিনি সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শিপইয়ার্ডের মালিক রফিকুল ইসলামের ছেলে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, ‘মালবাহী জাহাজ কেটে বিক্রির ঘটনায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান চলছে।’
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শাহাদাত মামলার প্রথম আসামি জাফরের সঙ্গে যোগসাজশে চট্টগ্রাম থেকে ডাম্ব বার্জ (ডিবি) নামের একটি জাহাজ চলতি মাসের ১ তারিখে ভাড়া নেন। প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার টাকায় এক মাসের জন্য চুক্তি করেন জাহাজের মালিক রাকেশ শর্মা’র সাথে।
এরপর জাহাজটি সোনারগাঁ মেঘনা নদীর তীরে এইচবি হারুন অ্যান্ড ব্রাদার্স মেঘনা শিপইয়ার্ডে তুলে জাহাজটি কেটে এর প্লেট বিক্রি করে ফেলেন। বিষয়টি জাহাজের এক কর্মচারী গোপনে মালিককে অবগত করলে মালিক ঘটনাস্থলে এসে নিজের জাহাজ কাটা অবস্থায় দেখতে পান। এতে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন রাকেশ শর্মা।
রাকেশ বলেন, ‘এক মাসের চুক্তিতে জাফর পণ্য পরিবহনের জন্য জাহাজটি ভাড়া করে নিয়ে আসেন। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা সিন্ডিকেট করে সোনারগাঁয়ের এক বিএনপি নেতার ছেলে তাদের নিজস্ব শিপইয়ার্ডে কেটে বিক্রি করে দেন।’
ঘটনার পর অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতার বাবা ও শিপইয়ার্ডের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে জাহাজ কাটা বন্ধ রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।













Leave a Reply