বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ আন্তর্জাতীক রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে অভিযান চালিয়েছে দুদুক। বুধবার দুপুরে দুদকের একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র জব্দ করেছেন।
দুদুকের সহকারী পরিচালক হুসাইন শরীফ সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, বৈধতা না থাকার পরেও ২০০৯ সাল থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. শওকত আলীর মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। গবেষণা, পিএইচডি, এমফিল করার জন্য বিভিন্ন সময় এখানে ভর্তি হয়েছেন ২০৬ জন।
কিন্ত এর কোন কার্যক্রম না থাকায় এখানকার ১১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ২০০৯ সাল থেকে বেতন ভাতা অবৈধ ভাবে উত্তোলন করে আসছে। এতে করে সরকার আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। আমরা যেসব কাগজপত্র জব্দ করেছি তাতে এর সত্যতা পেয়েছি। আমরা এসব কাগজপত্র আমাদের প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিবো তারা নির্দেশনা দিলে পরবর্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ড. ওয়াজেদ আন্তর্জাতীক রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে গবেষক ড.রোকনুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ২০১১ সালের ২৫ জুন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই গবেষণা কেন্দ্রের অনুমতি প্রদান করেন। এর পর থেকে এখানকার কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে আসছে। আমরা নিয়ম মেনে এখানে নিয়োগ পেয়েছি। আর ভর্তির দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকত আলী জানান, আগে ওখানে কি হয়েছে তা আমি বলতে পারি না। আমার জানা মতে ২০২৪ সালের ১৬মে ড. ওয়াজেদ আন্তর্জাতীক রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের অনুমোদন দেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি।
দুদক কর্মকর্তারা আমার কাছে এসে যেভাবে সহযোগীতা চেয়েছে আমি সেভাবে তাদের সহযোগীতা করেছি। আগে যারা ছিলো তারাই ভালো বলতে পারবে।
বেরোবি ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে অভিযান চালিয়েছে দুদক













Leave a Reply