নিজস্ব প্রতিবেদক:
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনীব্যবস্থাসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিবিয়ে হজম করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকার বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছিল। আমাদের প্রতীক কেড়ে নিয়েছিল, দলকে নিবন্ধনহীন করেছিল, আমাদের নিষিদ্ধ করেছিল, এখন জনগণ তাদের নিষিদ্ধ করেছে। মঙ্গলবার বিকালে তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ স্থানীয় জামাত আয়োজিত এক পথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেয়া নিয়ে সুশীলদের বক্তব্য প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কিছু সুশীল এখন বলে আওয়ামী লীগ কী নির্বাচনে আসতে পারবে? আওয়ামী লীগ কী কখনো নির্বাচন চেয়েছে? আওয়ামী লীগ নির্বাচন চাইলে গত তিন তিনটি নির্বাচনে জনগণকে সুযোগ দিত। তারা তা দেয় নাই। যারা নিজেরাই নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, আপনারা কারা? মায়ের দরদ নাই মাসির এত চিৎকার কেন?
জামায়াতের আমির বলেন, আমরা চাই আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক, ৫৩ বছরে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের ওপর নির্যাতন করা করেছে, তাদের সম্পদ কারা দখল করেছে, তাদের ইজ্জতের ওপর হাত দিয়েছে সেই গোষ্ঠীটা কে? তা বের করে আনা হোক। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। এখন মুখোশ উন্মোচন করে দেয়ার সুযোগ এসেছে। আমাদের দেশে কোনো মেজরিটি মাইনরিটি নাই। বাংলাদেশে যারাই জন্মগ্রহণ করবে, তারা সবাই এ দেশের নাগরিক। ধর্মের ভিত্তিতে আমরা কাউকে ভাগ করবো না, আল্লাহ এই সুযোগ দেন নাই। সকলেই সমান মর্যাদার অধিকারী। এই সংখ্যালঘু সংখ্যালঘু করে একটা মহল ৫৩ বছর সুযোগ সুবিধা নিয়েছে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কিসের সংখ্যালঘু, সংখ্যা গুরু। এইসব কথা বলে মানসিক শক্তি দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। আপনারা ঘুরে দাঁড়ান। সাদাকে সাদা বলুন, কালাকে কালা বলুন, যাতে সম্মানের সঙ্গে আমরা একসঙ্গে বসবাস করতে পারি।
তিনি বলেন, আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চাই, যে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা হয় সেই সমাজের মানুষের সকল অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়। যে সমাজে ন্যায়বিচার নেই সেখানে মানুষের কোনো অধিকার পায় না। ন্যায় বিচারের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা, আমাদের দলের প্রতীক হলো দাঁড়িপাল্লা।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে জামায়াতের আমির বলেন, কেন তারা দাঁড়িপাল্লার বিরুদ্ধে লাগলো? এই প্রতীক যদি সংসদে যায়, এই প্রতীক হাতে নিয়ে যদি মানুষ দেশ শাসন করে, তাহলে এই দেশে আইনের শাসন কায়েম হবে। ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে, ইনসাফ কায়েম হবে। এইজন্য তারা এই প্রতীকের সহ্য করতে পারেনি। ইনশাল্লাহ আমরা আবার প্রতীক ফিরে পাবো।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শুধু আমরা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি নাই, লড়াই করি নাই। সারা দুনিয়ায় আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা যারা আছেন তারাও লড়াই করেছেন। সতরাং দেশে-বিদেশে যারা বাংলাদেশি আছে তাদের সবাই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে। আমরা বলেছি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তরুণ-তরুণীকে ভোটার তালিকায় লিপিবদ্ধ করতে হবে।













Leave a Reply