শীতে শরীর সুস্থ্য রাখার কৌশল

হেলথ ডেক্স:
শুরু হয়েছে শীতের তীব্রতা। গ্রাম থেকে শহর সব খানেই শীতের আমেজ। এই সময় খাবারে সচেতন হতে হয়। বিশেষ করে সকালের খাবার, শরীর সতেজ রাখার কৌশল জানা খুবই জরুরি। শরীর সুস্থ্য রাখতে না পারলে রোগবালাই বাসা বাধবে শরীরে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছে, শীতের সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ঠান্ডা-কাশির মত রোগবালাই দূর করতে গমের রুটি, ননীবিহীন দুধ, চর্বিহীন প্রোটিন ইত্যাদিখাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম, ব্যায়াম, কম মানসিক চাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত রাখতে সহায়তা করে।

এছাড়া রয়েছে কিছু শীতের খাবার। শীতের সকালে যেগুলো খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই আর দেরি না করে জেনে নিন শীতের সকালের খাবারের তালিকা :

লাল আটার রুটি

লাল আটার রুটিতে ফাইবার এবং ভিটামিন বি রয়েছে। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে শরীরে উষ্ণ ভাব এনে দেয়। ভিটামিন বি দেহকে উষ্ণ রাখে।

ডিম

ডিম খেতে সবাই ভালোবাসে। সেদ্ধ, হোক বা পোচ প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবার প্রতিদিনের সকালে খেতেই হবে। ডিমে প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ওমেগা-৩ রয়েছে।

মিক্সড ভেজিটেবল

মিক্সড ভেজিটেবলে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন, মিনারেলস, ফাইবার থাকে, বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম এই সবজি। ত্বকের লাবণ্য ফিরে আনতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

চা

শীতের সকালে গ্রিন টি, তুলসী পাতার চা, অথবা আদা চা-এর উপকারিতা রয়েছে। এতে যেমন ক্লান্তি দূর হয়। তেমনি শরীরও সতেজ থাকে।

স্যুপ

স্যুপ খুবই হেলথি একটা খাবার। প্রতিদিন সকালে না হলেও যে কোনো একটা সময়ে স্যুপ খান। এতে শরীরে শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ঠান্ডা দূর করে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখে।

মৌসুমি ফল

যেকোনো মৌসুমি ফল গ্রহণে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য বহুগুণে বেড়ে যায়।

মধু

শীতকালে মধুর কোনো বিকল্প নেই। গলার খুসখুস কমানোর পাশাপাশি মধু ঠান্ডা দূর করে।

দুধ

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দুধ অবশ্যই রাখুন। দুধে যে প্রোটিন থাকে তা শরীরের জন্য উপকারী।

কর্নফ্লেক্স

প্রতিদিন একঘেয়েমি খাওয়ার খেতে কারোরই ভালো লাগে না। তাই মাঝে মধ্যে কর্নফ্লেক্স খান। তার মধ্যে ফল মিশিয়েও খেতে পারেন।

ওটস

ওটস খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। ওটস অনেক ভাবেই খেতে পারেন। দুধ দিয়ে, খিচুড়ি করে যেটা ভালো লাগে সেভাবেই খেতে পারেন।

কলা

প্রতিদিনের ব্রেকফাস্টে কলা অবশ্যই রাখুন। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন কলা খান।

মাখন

সকালের ব্রেকফাস্টে অবশ্যই মাখন খান। মাখন দিয়ে হালকা টোস্ট করে খেতে পারেন।

সুজি

সুজি দিয়ে অনেকরকম খাবার বানিয়ে নিতে পারেন। ঝাল হোক মিষ্টি দুরকমভাবেই এই সুজি বানিয়ে নিতে পারেন। এতে পেটও যেমন ভরা থাকবে তেমনি শরীরও ভালো থাকবে।

শসা

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যে মাথাব্যথা হয়, শরীরে অবসাদ আসে তা শশার উপাদানগুলো যেমন – ভিটামিন বি ও সুগার এ সব দূর করে। শসায় অনেকটা ফাইবার থাকে। তাই বেশ অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। ভাজাভুজি কিনে খাওয়ার প্রবণতা কমবে। কাজের ফাঁকে কয়েক টুকরো শসা খেয়ে নিলে শরীরে পানির ঘাটতি মিটবে।

কাঠবাদাম

সকাল বেলা উঠেই দুটি কাঠ বাদাম খেয়ে নিলেই তরতাজা থাকা যায়। এনার্জি লেভেল ঠিক রাখতে প্রতিদিন কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত। কাঠ বাদামের শক্তিশালী গুণ হলো, মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতেও এটি দক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *