নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগর কমিটি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এতে বলা হয় রংপুর কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া তাদের দল ও ছাত্র সংগঠন নিয়ে তিনি আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন।
নগরীর শাপলা চত্বরে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে প্রদান করেন মহানগর জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ এটিএম আজম খান।
তিনি বলেন ওই অধ্যক্ষ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করেন। এছাড়া তিনি জামায়ত-শিবিরকে পুরনো শকুন ও তারা জাতীয় পতাকা খামছে ধরেছে বলে বক্তব্য রাখেন। এ জন্য তার বক্তব্যকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার সরকারের মদদপুষ্ট আওয়ামীগ এর রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবে ইল্লেখ করেন। তার এই বক্তব্য জাতিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রের একটি অংশ।
এটিএম আজম খান বলেন,জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশ ও জাতির কল্যাণে নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। গত ১৬ বছর রংপুর অঞ্চলে জামায়াত-ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা মামলা-হামলা, জেল জুলুম উপেক্ষা করে, সব অন্যায়, জুলুম শোষণের বিরুদ্ধে,জনগণের ভোটাধিকার ও মানবাধিকার, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সব আন্দোলনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তাছাড়াও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াত দল হিসেবে সর্বদা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে আসছে।
উল্লেখ, বিজয় দিবসের আয়োজনে দেওয়া বক্তব্যে ওই অধ্যক্ষ বলেন, জাতীয় পতাকা খামচে ধরেছে পুরোনো শকুন জামায়াত-শিবির। তারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। ১৯৭১ সালকে ক্ষীণ করার জন্য ২৪ সালের জুলাই আগস্টকে তুলনা করা হয়, এটা কখনো হতে পারে না। তার এই বক্তব্য বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল ও বিভিন্ন গণমাধ্যে প্রচার হওয়ার পর জামায়াতের পক্ষ থেকে এই আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হলো। সংগঠনটি পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানানো হয়।













Leave a Reply