খাদ্যগুদামে আরো ২০ টন নিম্নমানের চাল, তিনজনকে বদলি

অনলাইন ডেস্ক

রাজশাহীর দুর্গাপুরে উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নামে রাখা আরো ২০ মেট্রিক টন নিম্নমানের চাল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) উদ্ধার করা চাল নিয়ে এ পর্যন্ত ওই গুদাম থেকে ৮০ মেট্রিক টন চাল উদ্ধার করা হলো।

জানা গেছে, উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা চাল নিয়ে অসন্তোষ ও অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৬ আগস্ট আকস্মিক খাদ্যগুদাম পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন। এ সময় তিনি সেখানে লাল তামড়ি চাল শনাক্ত করেন, যা মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী।

এর মধ্য দিয়ে ভিডাব্লিউবি, টিসিবি, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে নিম্নমানের চালের মিশ্রণ শনাক্ত করা হয়। তাৎক্ষণিক সব কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়ে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করেন তিনি। এ ছাড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকেও পৃথক কমিটি করে দেওয়া হয়। কমিটি মঙ্গলবার পর্যন্ত দুর্গাপুর খাদ্যগুদাম থেকে মোট ৮০ মেট্রিক টন খাওয়ার অনুপযোগী চাল উদ্ধার করে।

এদিকে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম গোপনে গত ২৮ আগস্ট ১৩২ বস্তা নিম্নমানের চাল খাদ্যগুদাম থেকে সরিয়ে গুদামের নিরাপত্তারক্ষী শাহজাহানের বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। খবর পেয়ে ইউএনও সেখান থেকে ওই চাল উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা প্রশাসন। কমিটি নিম্নমানের চাল মজুদের সত্যতা পাওয়ায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে কারণ দর্শানো হয়েছে।
সূত্র মতে, ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে রফিকুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের মুলাধলীতে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা প্রহরী শাহজাহান আলম ও বাবুল কুমারকে বগুড়ার খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ইউএনও সাবরিনা শারমিন বলেন, ‘আকস্মিক খাদ্যগুদাম পরিদর্শন করে এ পর্যন্ত ৮০ মেট্রিক টন নিম্নমানের চাল শনাক্ত করা হয়েছে। খাদ্য বিভাগকে ওই চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুঝিয়ে দেওয়া চালের সরকারি মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।
তদন্ত কমিটি মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *