রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

অনলাইন ডেস্ক :

সিলেটের সব নদীর পানি কিছুটা কমলেও সুরমা-কুশিয়ারার পানি তিন পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের পাহাড়ি ঢলে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা সেতু রক্ষাবাঁধের ৬০ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

সিলেট : গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের সব নদীতে পানি কিছুটা কমেছে। তবে এখনো সুরমা ও কুশিয়ারার পানি তিন পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট অফিস জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার পানি আমলসীদ পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। উজানে ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবং সিলেটে বৃষ্টি না হওয়ায় সব নদীতে পানি কমেছে।

রংপুর : রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উজানের পাহাড়ি ঢলে বাঁধের ভাঙন অব্যাহত থাকায় তিস্তা সেতু, রংপুর-লালমনিরহাট সড়কসহ কয়েকটি চর ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে।

জানা গেছে, চলতি বছরের আগস্টে উজানের ঢলের তীব্র স্রোত সরাসরি এসে আঘাত হানে বাঁধে। এতে তিস্তা বাঁধের নিচের অংশের মাটি ভেসে গিয়ে ব্লকগুলো ধসে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মুসা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধস রোধে কাজ করার কথা জানান। কিন্তু সেই কাজ বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত রবিবার থেকে উজানের তীব্র পানির প্রবাহে বাঁধটিতে ভাঙন শুরু হয়। গতকাল বিকাল পর্যন্ত বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, ‘তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধে ভাঙনের বিষয়ে আমি ডিসি স্যার ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি সবোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’

সিরাজগঞ্জ : টানা কয়েক দিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দ্রুত গতিতে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বাড়ছে। গতকাল সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮৫ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১০৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২.৯০ মিটার)। পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনার পানি বাড়ছে। আরও দু-এক দিন পানি বাড়তে পারে। তবে এতে বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *