অনলাইন ডেস্ক
যশোরের কেশবপুরে বিজ্ঞান পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক স্কুলছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। উপজেলার গৌরীঘোনা ইউনিয়নের দশকাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়াসহ শিক্ষা অফিসকে অবগত করা হয়েছে।
অভিযোগ ও স্কুলছাত্রের পরিবার সূত্র জানায়, উপজেলার দশকাহুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল রবিবার দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার বিজ্ঞান বিষয়ের খাতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
এতে পাঁচ রোল নম্বরধারী রোহান শেখের খাতায় ৪৯ নম্বর দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক চিন্ময় সরকারের কাছে সব প্রশ্নের উত্তর লেখার পরও এত কম নম্বর পাওয়ার বিষয়ে জানতে চায় শিক্ষার্থী। এ সময় শিক্ষক চিন্ময় সরকার তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। লাঠি ভেঙে যাওয়ায় ওই শিক্ষক রোহানের মুখের দুই চোয়ালে থাপ্পড় মারতে থাকেন।
এতে সে মারাত্মকভাবে আহত হয়।
স্কুলছাত্র রোহান শেখের বাবা রমি শেখ বলেন, ‘আমার ছেলেকে ডাক্তার না দেখিয়ে আহত অবস্থায় তাকে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরে বিষয়টি জানতে পেরে বিদ্যালয় ছুটির আগ মুহূর্তে রোহানকে আনা হলে তার বাম পাশের চোয়ালে, মাথায় ও পিঠে জখমের চিহ্ন দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। আমার ছেলেকে এভাবে মারধর করার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষক চিন্ময় সরকারের বিচার চাই।
একই সঙ্গে চিকিৎসা না দিয়ে আহত অবস্থায় তাকে বিদ্যালয়ে আটকে রাখার জন্য প্রধান শিক্ষক দীন মোহাম্মদেরও বিচার চাচ্ছি।’
উপজেলার দশকাহুনিয়া গ্রামের শামীম শেখ জানান, শিক্ষক চিন্ময় সরকার এর আগেও একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ও হাফিজুরের মেয়েকে মেরে আহত করেছেন। তার বিরুদ্ধে আরো বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শিক্ষক চিন্ময় সরকারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
দশকাহুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘রোহানকে মারধরের কারণে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সহকারী শিক্ষক চিন্ময় সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সন্তোষ মণ্ডল বলেন, ‘ওই স্কুলছাত্রের বাবার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই শিক্ষক চিন্ময় সরকারকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। নোটিশের জবাব পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’














Leave a Reply