টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুনে দগ্ধ ৮, মালিক পলাতক

অনলাইন ডেস্ক

টঙ্গীর ফেমাস কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী অগ্নিদ্বগ্ধসহ ৮ জন আহতের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। সংশ্লিষ্ট সব সরকারি দপ্তর বলছে, ফেমাস কেমিক্যালের কোনো লাইসেন্স ছিল না। প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ ছিল। ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানটির মালিক পালিয়ে গেছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন টঙ্গীর সাহারা মার্কেটে অবস্থিত ফেমাস কেমিক্যাল পরিদর্শনে গিয়ে এসব তথ্য জানা যায়।

ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক নজমুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব পালন করছি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেবে আমাদের ঢাকা অফিস। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয় জানতে তদন্ত কমিটি গঠিত হবে।
ঢাকা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রাশেদ বিন খালিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গতকাল সোমবার টঙ্গীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমাদের ৪ জন অগ্নিদ্বগ্ধসহ ৫ জন আহত হন। ফেমাস কেমিক্যাল লিমিটেডের কোনো ফায়ার লাইসেন্স নেই।’

গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আরেফিন বাদল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ফেমাস কেমিক্যাল লিমিটেডের পরিবেশের কোনো ছাড়পত্র ছিল না। এই বিষয়ে গতকাল রাতেই আমরা প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিয়েছি।

গাজীপুর সিটিকরপোরেশন টঙ্গী অঞ্চলের নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা কেমিক্যালের লাইসেন্স দেই না। ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে কি না খোঁজ নিতে হবে।’
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ওয়াহিদুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত গোডাউনের মালিক ইসমাইল হোসেনকে খুঁজে পাচ্ছি না। কি কি মালামাল পুঁড়েছে তাও জানি না। মালিক পেলেই জট খুলবে।
গতকাল সোমবার বেলা সোয়া তিনটায় টঙ্গী বিসিকের রেল স্টেশন রোডের পাশে সাহারা মার্কেট টিনশেড সেমিপাকা ভবনে অবস্থিত ফেমাস কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিটের ৫৩ জন সদস্য আগুন নিয়ন্ত্রণে করেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানটিতে থাকা কেমিক্যালের ড্রাম বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের ৪ জনসহ ৫ জন অগ্নিদ্বগ্ধসহ ৮ জন আহত হন।

দ্বগ্ধরা হলেন- ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক জান্নাতুল নাঈম (৪৩) ৪২%, ফায়ার ফাইটার মো. শামীম (৪৫) ১০০%, মো. নুরুল হুদা (৪৫) ১০০%, ও মো. জয় হাসান (২৫) ৫% ও দোকান কর্মচারী বাবু হাওলাদার (২০), ৮০ % দ্বগ্ধ হয়েছেন।

আহত হয়ে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহিন আলম (৪২), পথচারী আশিক (১৭) ও গোডাউন কর্মচারী লিটন (৪০)।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. ফজলে রাব্বি সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগুনে দ্বগ্ধদের মধ্যে জয় হাসানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *