অনলাইন ডেস্ক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা আন্দোলনে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিচার নিশ্চিত ও পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মীর কাদির বলেন, এমনিতে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্গাপূজার ছুটি আছে। তার আগে এই কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী আগেভাগেই বাড়িতে চলে যাচ্ছে।
এই কারণে পুরো ক্যাম্পাস ফাঁকা হয়ে পড়েছে। অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীরা বলছেন, দৃশ্যমান দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেখা পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রশাসন ভবনের বেশির ভাগ দফতরে তালা ঝুললেও কিছু কিছু অফিস খোলা রয়েছে।
রাবি অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে জরুরি পরিষেবা ছাড়া প্রশাসনিক সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষক লাঞ্ছনাকারী শিক্ষার্থী নামধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি দেখছি না।’
তিনি বলেন, ‘গত ২ জানুয়ারি শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ১০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। গত ২০ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তা-ও যে আলোর মুখ দেখবে তা নিয়ে আমরা সন্দিহান।
তাই দৃশ্যমান অগ্রগতি ছাড়া আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক লাঞ্ছনাকারী সন্ত্রাসীদের ছাত্রত্ব বাতিল করে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
এদিকে রাকসু নির্বাচনের পূর্বে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউননের কারণে ক্যাম্পাস স্থবির হয়ে পড়ায় রাকসু নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।














Leave a Reply