অনলাইন ডেস্ক
পাওয়ার প্লেতে দুই দলই সমানে সমানে লড়েছে। পাকিস্তান ৩ উইকেট তুলে নিলেও ঠিকই ৫৩ রান নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে ৬ ওভার শেষ হতেই ব্যাটিং ধসে পড়ে লঙ্কানরা।
যার প্রভাব পড়ে দলীয় স্কোরে।
নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৩৩ রানে থামে শ্রীলঙ্কা। এই স্কোরটাও হতো না যদি ফিফটি না করতেন কামিন্দু মেন্ডিস। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে লঙ্কানদের শুরুটাই হয় ধাক্কায়। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ‘গোল্ডেন ডাকে’ আউট হন কুশল মেন্ডিস।
দলীয় ১ রানে তাকে আউট করে পাকিস্তানকে প্রথম উদযাপনের উপলক্ষ এনে দেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।
নিজের ফিরতি ওভারে আরেকবার ধাক্কা দেন শাহীন আফ্রিদি। এবার ফেরান আরেক ওপেনারকে। ব্যক্তিগত ৮ রানে পাতুম নিশাঙ্কাকে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ হারিসের কাছে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার।
দলীয় ১৮ রানে দুই ওপেনারকে হারানো শ্রীলঙ্কাকে পথ দেখান কুশল পেরেরা ও চরিত আসালাঙ্কা। তৃতীয় উইকেটে ২৫ রানের জুটি গড়ে চেষ্টাও করছিলেন তারা।
কিন্তু এক ছক্কা ও চারে ১৫ রান করা কুশল আউট হওয়ার পরেই ব্যাটিং ধসে পড়ে শ্রীলঙ্কা। কেননা অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসে টানা দুই উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন হুসাইন তালাত। হ্যাটট্রিক না পেলেও শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড় করান ৫ উইকেটে ৫৮ রান।
১৫ রান করে পরে দ্রুত ফেরেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও।
দলীয় ৮০ রানে ৬ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কাকে ১৩৩ রানে সংগ্রহ এনে দেন কামিন্দু। চামিকা করুণারত্নেকে সঙ্গে নিয়ে সপ্তম উইকেটে গড়েন দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রানের জুটি। কাঁটায় কাঁটায় ৫০ করে ফেরেন শাহীন আফ্রিদির বলে। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে কাটা পড়েন শ্রীলঙ্কান ব্যাটার। শেষ দিকে একাদশে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া করুণারত্নে খেলেন ১৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন শাহীন আফ্রিদি।













Leave a Reply