অনলাইন ডেস্ক
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীতে পানি বিপৎসীমার নিচে নেমেএসেছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় পানির উচ্চতা ৫৯ সেন্টিমিটার কমেছে।
এদিকে, পানি কমতে শুরু করলেও সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীতে ভাঙন পরিস্থিতি আরো বিপৎজনক হয়ে উঠেছে।
চরাঞ্চল ও নিচু এলাকাগুলো থেকে পানি সরেনি। সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া ইউনিয়নে তীব্র ভাঙনে বিস্তীর্ণ আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলি জমি ও বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ওই ইউনিয়নের উত্তর লালচামার গ্রামে আরো ১১টি বসতবাড়ি হারিয়ে গেছে তিস্তায়।
জনপ্রতিনিধিরা জানায়, শুধু ওই উপজেলার কাপাসিয়া নয়, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চণ্ডিপুর, শ্রীপুর ইউনিয়নে চলছে তিস্তার ভাঙন ।
এই ভাঙন চলবে অন্তত তিন মাস।
কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পানি দ্রুত কমতে শুরু করলেও বিশেষ করে লালচামার, উত্তর লালচামার, ভোরের পাখি, ভাটী কাপাসিয়া চর গ্রামে ভাঙন থামছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।’
লালচামার গ্রামের কৃষক আবদুল মান্নান আকন্দ বলেন, ‘বাড়ি সরাতে সরাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি ।
শুধু কষ্টের ফসল চোখের সামনে নদীর গ্রাসে বিলীন হচ্ছে- এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’
কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনজু মিয়া বলেন, ‘অনেকবার আবেদন করেছি। কিন্তু এই চরের মানুষের কথা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিদের বিবেচনায় আসে না। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করেন। কিন্তু এই তালিকা ক্রমাগত দীর্ঘ হতে থাকবে।
যতদিন পর্যন্ত ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হবে।’
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ‘তিস্তার পানি কমে যাচ্ছে। ফলে অসময়ে বন্যার হাত থেকে চর এলাকাগুলো রক্ষা পাবে। ফসলহানি ঘটবে না। চরবাসীর জন্য ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থাগ্রহণে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’
















Leave a Reply